নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুকে। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো আইসোটোপ কাকে বলে আইসোটোপের ব্যবহার সম্পর্কে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

আইসোটোপ কাকে বলে?
একই মৌলের বিভিন্ন পরমাণু, যাদের পরমাণুক ক্রমাঙ্ক বা প্রোটন সংখ্যা একই, কিন্তু নিউক্লিয়াসের বিভিন্ন সংখ্যক নিউট্রন থাকার ফলে ভর সংখ্যা আলাদা হয়, এই পরমাণু গুলিকে পরস্পরের আইসোটোপ বা সংস্থানিক বলে।
আইসোটোপ গুলির রাসায়নিক ধর্ম অভিন্ন হয় অর্থাৎ একই রকমের হয়, কিন্তু পারমাণবিক ভরের উপর নির্ভরশীল এমন ভৌত ধর্ম গুলি পৃথক হয়।
প্রথমে তেজস্ক্রিয় মৌল থেকে আইসোটোপের অস্তিত্ব জানা গেলেও পরে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে প্রায় প্রতিটি প্রাকৃতিক মৌলেরই আইসোটোপ আছে।
আইসোটোপগুলি তেজস্ক্রিয় অথবা অ-তেজস্ক্রিয় দুই প্রকার হতে পারে। একটি মৌলের তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ থাকতে পারে আবার এর সাথে সাথে অ-তেজস্ক্রিয় আইসোটোপও থাকতে পারে।
আইসোটোপের ব্যবহার
১) পৃথিবীর বয়স বা জৈব পদার্থ সমন্বিত প্রাচীন বস্তুর বয়স নির্ণয় করার জন্য কার্বনের কার্বন-14 তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহৃত হয়।
২) চিকিৎসা বিজ্ঞানে ক্যান্সার টিউমার ও গলগন্ড রোগের চিকিৎসায় বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ যেমন, P-32 , Co-60 , I-131 ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
৩) রাসায়নিক বিক্রিয়ার ক্রিয়াকৌশল নির্ণয় করতে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ কার্বন-14 , N-15 , O-18 , S-35 ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
*O-18 বা অক্সিজেন-18 আইসোটোপ জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি সম্পর্কিত গবেষণায় ব্যবহৃত হয়। O-18 আইসোটোপ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল এবং মহাসাগরের তাপমাত্রার পরিবর্তনগুলি অধ্যয়ন করতে ব্যবহৃত হয়।
৪) কৃষি কাজে তেজস্ক্রিয় আইসোটোব ব্যবহার করে উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও রোগ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
৫) আইসোটোপের সাহায্যে ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পে সূক্ষ্ম যান্ত্রিক উৎকর্ষের মান পরীক্ষা করা হয়।