নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুকে। এই পোস্টে আমরা জানবো ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য কোনগুলো সে সম্পর্কে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য
ভাইরাসের জড় বৈশিষ্ট্য
1. বিশুদ্ধ ভাইরাসকে কেলাস আকারে পাওয়া যায়। বিজ্ঞানী স্ট্যানলি TMV -কে কেলাস রূপে পরিশ্রুত করেছিলেন। কোশের ম্যাক্রো মলিকিউলগুলি কেলাস আকারে পাওয়া যায়, কিন্তু কোনো জীবকে কেলাস রূপে পরিশ্রুত করা যায় না।
2. কোশীয় ক্রিয়া-কলাপের জন্য ন্যূনতম 5000Å স্থান প্রয়োজন কিন্তু ভাইরাসের দৈর্ঘ্য 100Å-2000Å -এর বেশি হয় না।
3. একটি কোশ গঠনের দুটি অত্যাবশ্যক শর্ত হল, কোশ পর্দা এবং প্রোটোপ্লাজমের উপস্থিতি। ভাইরাসের ক্ষেত্রে এই দুটি কোশীয় উপাদান অনুপস্থিত থাকে।
4. ভাইরাসের দেহে বিপাক ক্রিয়া পরিচালনকারী সমস্ত কোষীয় অঙ্গানু অনুপস্থিত থাকে।
5. ভাইরাসের দেহে রেচন, শোষণ, বৃদ্ধি প্রভৃতি শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াগুলি লক্ষ্য করা যায় না।
6. ভাইরাসের দেহ জ্যামিতিক তল বিশিষ্ট হয়, যা কোনো সজীব দেহে লক্ষ্য করা যায় না।
পড়ুন ভাইরাস সম্পর্কে আরও বিস্তারিত
ভাইরাসের সজীব বৈশিষ্ট্য
7. অন্যান্য সজীব কোশের মতো ভাইরাসের দেহেও নিউক্লিক অ্যাসিড উপস্থিত থাকে।
8. ভাইরাস পোষকদেহের মধ্যে বংশ বিস্তারে সক্ষম হয়।
9. ভাইরাস পোষকদেহের মধ্যে প্রবেশ করে রোগ সৃষ্টি করতে পারে। প্যাথোজেনেসিটি বা রোগ সৃষ্টির ক্ষমতা সজীব কোশের বৈশিষ্ট্য।
10. ভাইরাস পোষক দেহের রাইবোজোমকে ব্যবহার করে প্রোটিন সংশ্লেষণ করতে পারে।
11. ভাইরাস জিনোমের পরিব্যক্তি বা মিউটেশন সম্ভব যার মাধ্যমে ভাইরাস নিজের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন করতে পারে।