নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞান বুকে। এই আর্টিকেলের আমরা জানবো এক্স রশ্মির ধর্ম এবং এক্স রশ্মির ব্যবহার সম্পর্কে। তাহলে চলুন দেখে নিই এক্স রশ্মির ধর্ম কি কি এবং এর ব্যবহার।
এক্স রশ্মি |
এক্স রশ্মি কাকে বলে ?
উত্তর: তীব্র গতি সম্পন্ন ক্যাথোড রশ্মি তথা ইলেকট্রন কোনো কঠিন লক্ষ্য বস্তুর ওপর পড়ার ফলে তাদের গতি হঠাৎ মন্দীভূত হলে, একটি উচ্চ ভেদন ক্ষমতা যুক্ত যে তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ উৎপন্ন হয় তাকে এক্স রশ্মি বলে।
1895 খ্রিস্টাব্দে জার্মান বিজ্ঞানী রন্টজেন এক্স রশ্মির আবিষ্কার করেন। রশ্মি টি অদৃশ্য এবং এর প্রকৃতি অজানা থাকায় তিনি এর নাম দিয়েছিলেন এক্স রশ্মি।
এবার আমরা দেখবো এক্স রশ্মির ধর্ম গুলি।
এক্স রশ্মির ধর্ম
1. সাধারণ আলোর মতো এক্স রশ্মি তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ।
2. এক্স রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য খুব ছোটো (0.01 থেকে 1Å)।
3. তড়িৎ ক্ষেত্র বা চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা এক্স রশ্মি বিক্ষিপ্ত হয় না।
4. এক্স রশ্মি আলোর বেগে সরল রেখায় গমন করে।
5. বিশেষ অবস্থায় রশ্মি টির প্রতিফলন, প্রতিসরণ ও অপবর্তন ঘটে।
6. এক্স রশ্মি গ্যাসকে আয়নায়িত করে।
7. এক্স রশ্মি ফটোগ্রাফিক ফিল্ম এর উপর ক্রিয়া করে।
8. এক্স রশ্মি প্রতিপ্রভ পদার্থে প্রতিপ্রভার সৃষ্টি করে।
9. এক্স রশ্মি জীবন্ত কোষ কে নষ্ট করতে পারে।
আমরা দেখলাম এক্স রশ্মির বিভিন্ন ধর্ম গুলি, এবার আমরা দেখবো এক্স রশ্মির ব্যবহার।
এক্স রশ্মির ব্যবহার
1. শরীরের হাড় ভেঙে গেছে কিনা তা নির্ণয় করতে এক্স রশ্মির ব্যবহার করা হয়। এক্স রশ্মি চামড়া, মাংসপেশি ভেদ করলেও হাড় ভেদ করতে পারে না। ফলে এক্স রশ্মি শরীরে চালনা করলে ফটোগ্রাফিক প্লেটে হাড়ের ছবি পাওয়া যায় এবং হাড় ভেঙে গেছে কিনা তা বোঝা যায়। একে রেডিওগ্রাফ বলে।
2. শরীরে বুলেট ঢুকে থাকলে তা এক্স রশ্মির মাধ্যমে নির্ণয় করা যায়। হাড়ের অবাঞ্চিত বৃদ্ধি বা পাকস্থলীতে পাথর নির্ণয়ের ক্ষেত্রে এক্স রশ্মির ব্যবহার করা হয়।
3. এক্স রশ্মির অপবর্তন ঘটিয়ে কেলাসের অভ্যন্তরীণ গঠন বা পারমাণবিক বিন্যাস জানা যায়।
4. এক্স রশ্মির ব্যবহার করে আসল এবং নকল হীরে শনাক্ত করা যায়।
5. ইস্পাত কাঠামো বা বয়লারে ফাটল আছে কিনা তা নির্ণয়ের জন্য এক্স রশ্মির ব্যবহার করা হয়।
6. চোরাচালান রোধ করতে, যেমন কাঠ বা চামড়ার বাক্সে অস্ত্রশস্ত্র, সোনার গয়না আছে কিনা তা নির্ণয় করতে, গোয়েন্দা ও শুল্ক কর্মীরা এক্স রশ্মির ব্যবহার করেন।
তাহলে আমরা দেখলাম এক্স রশ্মির বিভিন্ন ধর্ম এবং এক্স রশ্মির ব্যবহার। আরো অন্যান্য আর্টিকেলের জন্য হোম পেজে গিয়ে নীচে স্ক্রোল করে অন্যান্য আর্টিকেল গুলি পড়তে পারবেন।
কেমন লাগছে বিজ্ঞানবুক পড়তে? অবশ্যই জানান কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে। আপনি কি Bigyanbook এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করেছেন? যদি না করে থাকেন তাহলে এক্ষুনি ইউটিউবে গিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন বিজ্ঞানবুক এর ইউটিউব চ্যানেল। ফলো করুন বিজ্ঞানবুক -কে ফেসবুকে। শেয়ার করুন এই আর্টিকেলটি অন্যান্যদের সাথে। পড়তে থাকুন বিজ্ঞানবুক। ধন্যবাদ।।