{tocify} $title={এক নজরে শিরোনাম}
2. কঠিন পদার্থের গঠনকারী কণাগুলির মধ্যে আকর্ষণ বল তীব্র হয়।
3. যেহেতু কঠিন পদার্থের গঠনকারী কণাগুলি পরস্পরের খুব কাছাকাছি ঘন সন্নিবিষ্ট ভাবে আবদ্ধ থাকে, তাই কণাগুলোর মধ্যেকার ফাঁকা স্থানের পরিমাণ খুব কম হয়। এইজন্য কঠিন পদার্থ গুলি সাধারণত দৃঢ় ও অসংনম্য হয়। যেহেতু ফাঁকা স্থান এর পরিমাণ খুব কম হয় তাই কঠিন পদার্থের ঘনত্ব তরল বা গ্যাস অপেক্ষা বেশি হয়।
কঠিন পদার্থের বৈশিষ্ট্য
1. কঠিন পদার্থের গঠনকারী কণাগুলি পরস্পরের খুব কাছাকাছি নির্দিষ্ট স্থানে আবদ্ধ থাকে এবং এগুলি স্থানান্তর জনিত গতির আধিকারী হয় না। এইজন্য কঠিন পদার্থের একটি নির্দিষ্ট আকার এবং আয়তন বর্তমান।2. কঠিন পদার্থের গঠনকারী কণাগুলির মধ্যে আকর্ষণ বল তীব্র হয়।
3. যেহেতু কঠিন পদার্থের গঠনকারী কণাগুলি পরস্পরের খুব কাছাকাছি ঘন সন্নিবিষ্ট ভাবে আবদ্ধ থাকে, তাই কণাগুলোর মধ্যেকার ফাঁকা স্থানের পরিমাণ খুব কম হয়। এইজন্য কঠিন পদার্থ গুলি সাধারণত দৃঢ় ও অসংনম্য হয়। যেহেতু ফাঁকা স্থান এর পরিমাণ খুব কম হয় তাই কঠিন পদার্থের ঘনত্ব তরল বা গ্যাস অপেক্ষা বেশি হয়।
কঠিন পদার্থের শ্রেণীবিন্যাস
গঠনকারী কণাগুলোর বিন্যাসের শৃঙ্খলতা অনুযায়ী কঠিন পদার্থ গুলিকে দুটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। যথা, কেলাসাকার কঠিন এবং অনিয়তাকার কঠিন।
কেলাসাকার কঠিন
যেসব কঠিন পদার্থের আকার ও গলনাঙ্ক নির্দিষ্ট, গঠনকারী কণাগুলি (অণু, পরমাণু বা আয়ন) সুনির্দিষ্ট ও সুশৃঙ্খলভাবে বিন্যস্ত থাকে এবং বিন্যাসের এই শৃঙ্খল বহু দূর পর্যন্ত বিস্তৃত তাদের কেলাসাকার কঠিন বলে।
কেলাসাকার কঠিনের উদাহরণ
সোডিয়াম ক্লোরাইড, পটাশিয়াম ক্লোরাইড, সুক্রোজ, হীরক ইত্যাদি।
কেলাসাকার কঠিনের বৈশিষ্ট্য
1. কেলাসাকার কঠিন পদার্থের গঠনকারী কণাগুলি সুনির্দিষ্ট ও সুশৃঙ্খলভাবে বিন্যস্ত থাকে। তাই এই ধরনের কঠিন পদার্থের একটি নির্দিষ্ট জ্যামিতিক আকার থাকে।
2. প্রতিটি কেলাসাকার কঠিন এর গলনাঙ্ক নির্দিষ্ট হয়। একটি নির্দিষ্ট উষ্ণতায় কেলাসাকার কঠিন পদার্থের গলন শুরু হয় এবং এই গলন সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত পদার্থের উষ্ণতা স্থির থাকে।
3. কেলাসাকার কঠিনের গলনের লীন তাপ নির্দিষ্ট।
4. কেলাসাকার কঠিন গুলি দৃঢ় এবং অসংনম্য হয়।
5. কেলাসাকার কঠিন পদার্থ গুলি অসমসারক হয়ে থাকে।
2. প্রতিটি কেলাসাকার কঠিন এর গলনাঙ্ক নির্দিষ্ট হয়। একটি নির্দিষ্ট উষ্ণতায় কেলাসাকার কঠিন পদার্থের গলন শুরু হয় এবং এই গলন সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত পদার্থের উষ্ণতা স্থির থাকে।
3. কেলাসাকার কঠিনের গলনের লীন তাপ নির্দিষ্ট।
4. কেলাসাকার কঠিন গুলি দৃঢ় এবং অসংনম্য হয়।
5. কেলাসাকার কঠিন পদার্থ গুলি অসমসারক হয়ে থাকে।
অনিয়তাকার কঠিন
যেসব কঠিন পদার্থের আকার ও গলনাঙ্ক নির্দিষ্ট নয় এবং গঠনকারী কণাগুলি (অণু, পরমাণু বা আয়ন) সুনির্দিষ্ট ভাবে সজ্জিত থাকে না, তাদের অনিয়তাকার কঠিন বলে।
অনিয়তাকার কঠিন পদার্থের উদাহরণ
কাচ, রবার, প্লাস্টিক মোম ইত্যাদি।
অনিয়তাকার কঠিনের বৈশিষ্ট্য
1. অনিয়তাকার কঠিনের গঠনকারী কণাগুলি সুনির্দিষ্ট ভাবে সজ্জিত থাকে না। তাই অনিয়তাকার কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট কোনো জ্যামিতিক আকার নেই।
2. কিছু কিছু অনিয়তাকার পদার্থে গঠনকারী কণাগুলির সুশৃঙ্খল বিন্যাস লক্ষ্য করা গেলেও এই সুশৃঙ্খল বিন্যাস কম দূরত্ব পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে।
3. অনিয়তাকার কঠিন পদার্থ গুলির গলনাঙ্ক নির্দিষ্ট নয়।
4. অনিয়তাকার কঠিন পদার্থ গুলি সমসারক হয়ে থাকে।
5. অনিয়তাকার কঠিন পদার্থ কিছুটা দৃঢ় ও সংনম্য হয়।
6. অনিয়তাকার কঠিন পদার্থের সঙ্গে তরল পদার্থের ধর্মের বেশ কিছু সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। তাই এই ধরনের পদার্থকে অনেক সময় অতি শীতলীকৃত সান্দ্র তরল বলা হয়।
2. কিছু কিছু অনিয়তাকার পদার্থে গঠনকারী কণাগুলির সুশৃঙ্খল বিন্যাস লক্ষ্য করা গেলেও এই সুশৃঙ্খল বিন্যাস কম দূরত্ব পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে।
3. অনিয়তাকার কঠিন পদার্থ গুলির গলনাঙ্ক নির্দিষ্ট নয়।
4. অনিয়তাকার কঠিন পদার্থ গুলি সমসারক হয়ে থাকে।
5. অনিয়তাকার কঠিন পদার্থ কিছুটা দৃঢ় ও সংনম্য হয়।
6. অনিয়তাকার কঠিন পদার্থের সঙ্গে তরল পদার্থের ধর্মের বেশ কিছু সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। তাই এই ধরনের পদার্থকে অনেক সময় অতি শীতলীকৃত সান্দ্র তরল বলা হয়।