জাতীয় উদ্যান কাকে বলে ?
উত্তর: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যসহ যেসব স্থানে সমস্ত রকম গাছপালা ও বন্য জীবজন্তু নিজস্ব পরিবেশে জাতীয় সংবিধান প্রণীত আইন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে সংরক্ষিত হয়, তাদের জাতীয় পার্ক বা জাতীয় উদ্যান বলে।
জাতীয় উদ্যানের বৈশিষ্ট্য
1) এটি ভারত সরকারের আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
2) প্রাকৃতিক ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক বস্তু, বনজ সম্পদ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ স্থায়ীভাবে আইন মারফত করা হয়ে থাকে।
3) সমগ্র বাস্তুতন্ত্র রক্ষিত হয়ে থাকে।
4) শিকার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। আগ্নেয়াস্ত্রসহ শিকারির প্রবেশ নিষেধ, তবে পর্যটক ভিতরে যেতে পারে।
জাতীয় উদ্যানের উদাহরণ
ভারতের জাতীয় উদ্যানগুলি হল — পশ্চিমবঙ্গের জলদাপাড়া, উত্তরপ্রদেশের করবেট, মধ্যপ্রদেশের কানহা, শিবপুরি ইত্যাদি।
অভয়ারণ্য কাকে বলে ?
উত্তর: যে সংরক্ষিত অঞ্চলে গাছপালার সঙ্গে বিশেষ কোনো বন্য প্রজাতির রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা আছে, তাকে অভয়ারণ্য বলে।
অভয়ারণ্যের বৈশিষ্ট্য
1) বন্যপ্রাণী, যারা অবলুপ্তির পথে তারা এখানে নির্ভয়ে ঘোরাফেরা করতে পারে এবং প্রজননে লিপ্ত হতে পারে।
2) রাজ্য সরকারের নির্দেশে শিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
অভয়ারণ্য এর উদাহরণ
ভারতের কয়েকটি অভয়ারণ্য হলো — পশ্চিমবঙ্গের বেথুয়াডহরি, কর্ণাটকের বন্দিপুর ইত্যাদি।
জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্যের মধ্যে পার্থক্য
জাতীয় উদ্যান | অভয়ারণ্য |
---|---|
1. প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সহ যেসব স্থানে সমস্ত রকম গাছপালা, বন্য জীবজন্তু নিজস্ব পরিবেশে, কেন্দ্রীয় সরকারের তত্ত্বাবধানে সংরক্ষিত হয়। | 1. যে বিশেষ সংরক্ষিত অঞ্চলে গাছপালার সঙ্গে বিশেষ কোনো প্রজাতির রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা আছে। |
2. জাতীয় উদ্যান এর মাধ্যমে ফ্লোরা এবং ফনা উভয়কেই সুরক্ষিত করা হয়। | 2. অভয়ারণ্যের মাধ্যমে শুধুমাত্র ফনাকে সুরক্ষিত করা হয়। |
3. জাতীয় উদ্যান থেকে কোনো প্রকারের বনজ সম্পদ সংগ্রহ করা হয় না। | 3. অভয়ারণ্য থেকে বনজ সম্পদ সংগ্রহ করা হয়। |