নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞান বুকে। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো। হরমোন ও উৎসেচকের পার্থক্য। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক পার্থক্য গুলি।
হরমোন ও উৎসেচকের পার্থক্য |
প্রথমেই আমরা হরমোন ও উৎসেচক কাকে বলে জানবো।
হরমোন কাকে বলে ?
প্রোটিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড বা স্টেরয়েড ধর্মী যে জৈব রাসায়নিক পদার্থ জীব দেহের কোনো বিশেষ কোশগুচ্ছ অথবা অন্তঃক্ষরা বা অনাল গ্ৰন্থি থেকে স্বল্প মাত্রায় ক্ষরিত হয়ে সাধারণত রক্ত, লসিকা ইত্যাদির মাধ্যমে উৎপত্তিস্থল থেকে দূরে শরীরের কোনো বিশেষ জায়গায় পরিবাহিত হয় এবং সেই অঞ্চলের কলা কোশের বিভিন্ন বিপাকীয় কাজের মধ্যে রাসায়নিক সমন্বয়সাধন করে এবং কাজের শেষে নষ্ট হয়ে যায়, তাকে হরমোন বলে।
উৎসেচক কাকে বলে ?
প্রোটিন ধর্মী যে দ্রবণীয় জৈব অনুঘটক সজীব কোশে উৎপন্ন হয় কিন্তু ওই কোষের নিয়ন্ত্রণাধীনে না থেকে বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়াকে প্রভাবিত করে এবং বিক্রিয়ার শেষে নিজে অপরিবর্তিত থাকে, তাদের উৎসেচক বলে।
হরমোন ও উৎসেচকের পার্থক্য
বিষয় | হরমোন | উৎসেচক |
---|---|---|
১) উৎপত্তিস্থল | ১) হরমোন শুধু মাত্র তরুণ কোশে অথবা অনাল গ্ৰন্থির কোশে উৎপন্ন হয়। | ১) উৎসেচক প্রায় সমস্ত রকম সজীব কোশে উৎপন্ন হয়। |
২) ক্ষরণ ও পরিবহণ | ২) অনাল গ্ৰন্থি থেকে নিঃসৃত হয়ে হরমোন সরাসরি রক্তে বা লসিকায় মিশে যায় এবং রক্ত বা লসিকা দ্বারা বাহিত হয়। | ২) উৎসেচক সনাল গ্ৰন্থি থেকে নিঃসৃত হয়ে উৎসেচক নালী পথের মাধ্যমে পরিবাহিত হয়। |
৩) ক্রিয়া | ৩) হরমোন উৎস স্থলে ক্রিয়া করে না, উৎস স্থল থেকে দূরবর্তী স্থানে ক্রিয়া করে। (ব্যাতিক্রম: স্থানীয় হরমোন) | ৩) উৎসেচক উৎসস্থলে এবং অন্যত্র ক্রিয়া করতে পারে। |
৪) সক্রিয়তা | ৪) হরমোন জৈব অনুঘটক রূপে ক্রিয়া করলেও ক্রিয়ার শেষে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। | ৪) উৎসেচক জৈব অনুঘটক রূপে করে এবং ক্রিয়ার শেষে অপরিবর্তিত থাকে। |
৫) কাজ | ৫) হরমোন রাসায়নিক বার্তাবহ রূপে কাজ করে। | ৫) উৎসেচক রাসায়নিক বার্তাবহ রূপে কাজ করে না। |
কেমন লাগছে বিজ্ঞানবুক পড়তে? অবশ্যই জানান কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে। আপনি কি Bigyanbook এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করেছেন? যদি না করে থাকেন তাহলে এক্ষুনি ইউটিউবে গিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন বিজ্ঞানবুক এর ইউটিউব চ্যানেল। ফলো করুন বিজ্ঞানবুক -কে ফেসবুকে। শেয়ার করুন এই আর্টিকেলটি অন্যান্যদের সাথে। পড়তে থাকুন বিজ্ঞানবুক। ধন্যবাদ।।