তরুণাস্থি যুক্ত ও অস্থি যুক্ত মাছের পার্থক্য

Bigyanbook


তরুণাস্থি যুক্ত মাছ কাকে বলে ?

যে সমস্ত মাছের অন্তকঙ্কাল তরুণাস্থি দ্বারা নির্মিত, ফুলকা পত্রফলকের ন্যায়, ফুলকা পাঁচজোড়া, কানকো দ্বারা আবৃত থাকে না, তাদের তরুণাস্থিযুক্ত মাছ বলে।

অস্থি যুক্ত মাছ কাকে বলে ?

যে সমস্ত মাছের অন্তকঙ্কাল অস্থি দ্বারা নির্মিত, ফুলকা চিরুনির ন্যায়, ফুলকা চারজোড়া, কানকো দ্বারা আবৃত থাকে, তাদের অস্থি যুক্ত মাছ বলে।

তরুণাস্থি যুক্ত ও অস্থি যুক্ত মাছের পার্থক্য

তরুণাস্থি যুক্ত মাছ অস্থি যুক্ত মাছ
তরুণাস্থি যুক্ত মাছের অন্তকঙ্কাল তরুণাস্থি দ্বারা নির্মিত। অস্থি যুক্ত মাছের অন্তকঙ্কাল অস্থি দ্বারা নির্মিত।
ফুলকা গুলি, ফুলকা প্রকোষ্ঠে থাকে। ফুলকাগুলি ফুলকা আর্চ এর উপর অবস্থান করে।
ফুলকা পত্রফলকের ন্যায়। ফুলকা চিরুনির ন্যায়।
সাধারণত পাঁচ জোড়া ফুলকা থাকে। কানকো দ্বারা আবৃত নয়। অস্থি যুক্ত মাছের সাধারণত চার জোড়া ফুলকা থাকে। কানকো দ্বারা আবৃত।
ইন্টার ব্র্যাঙ্কিয়াল সেপ্টামটি উন্নত এবং ফুলকা থলির প্রান্ত ভাগ অতিক্রম করে বিস্তৃত থাকে। ইন্টার ব্র্যাঙ্কিয়াল সেপ্টাম ক্ষুদ্র বা লুপ্তপ্রায়।
যুগ্ম ও অযুগ্ম পাখনা বর্তমান। পাখনা রশ্মি গুলি নরম এবং এপিডারমিস থেকে সৃষ্টি হয়। যুগ্ম ও অযুগ্ম পাখনা বর্তমান। কিন্তু পাখনা রশ্মি গুলি ডারমিস থেকে সৃষ্টি হয়।
উদাহরণ — Scoliodon sp. , Trygon sp. উদাহরণ — Catla catla

সেপ্টাল ফুলকা কী ?

উত্তর : তরুণাস্থিযুক্ত মাছেদের ফুলকাগুলি আন্তফুলকা পর্দা জাতীয় নরম ত্বকীয় ভাঁজ দ্বারা আবৃত থাকায় প্রতিটি ফুলকা প্রকোষ্ঠ পৃথক থাকে, একে সেপ্টাল ফুলকা বলে।

অপারকিউলার ফুলকা কী ?

উত্তর : অস্থি যুক্ত মাছের ফুলকা কানকো দ্বারা ঢাকা থাকে তাকে অপারকিউলার ফুলকা বলে।

সরীসৃপের আঁশ এবং মাছের আঁশের পার্থক্য কী ?

উত্তর : সরীসৃপের আঁশ এপিডার্মিস স্তর থেকে তৈরি হয় এবং মাছের আঁশ ডারমিস স্তর থেকে তৈরি হয়।

ব্লাবার কী ?

উত্তর : গৌণ জলজ স্তন্যপায়ী প্রাণীর চর্মের নীচে একটি মোটা চর্বির স্তর থাকে তাকে ব্লাবার বলে। এর কাজ দেহের তাপ সংরক্ষণ করা এবং দেহের আপেক্ষিকতা রক্ষা করা।

গৌণ জলজ প্রাণীদের অভিযোজিত ভূমিকা কী ?

উত্তর : জলে শীতল পরিবেশে দেহে তাপ সংরক্ষণ করা, জলে বসবাসের জন্য প্রয়োজনীয় আপেক্ষিক গুরুত্ব এবং সঞ্চিত খাদ্য ও বিপাকীয় জলের ভান্ডার হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

মাছের অতিরিক্ত শ্বসন অঙ্গের অভিযোজনগত উপযোগিতা কী কী ?

উত্তর : (i) ক্রান্তীয় ও পাহাড়ি জলস্রোতের মাছেদের ক্ষেত্রে অনেক সময় জলে অক্সিজেনের ঘাটতির কারণে অতিরিক্ত শ্বাস অঙ্গ গঠিত হয়।

           (ii) গ্ৰীষ্ম প্রধান দেশে বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে জলাশয় এর অক্সিজেনের সংকটের মোকাবিলা করার জন্য জিওল মাছের অতিরিক্ত শ্বসন অঙ্গের উদ্ভব ঘটেছে।

           (iii) কিছু ক্ষেত্রে এই অতিরিক্ত শ্বসন অঙ্গ জলে শ্বসনের উপযোগী হওয়ার সাথে সাথে স্থলেও শ্বসনের উপযোগী।


কেমন লাগছে আপনার বিজ্ঞান বুক পড়তে জানান আমাদেরকে নীচে কমেন্ট করে বা ইমেইলে বা হোয়াটসঅ্যাপে। শেয়ার করুন এই আর্টিকেলটি অন্যান্যদের সঙ্গে। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল এবং লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। পড়তে থাকুন বিজ্ঞানবুক। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।




বিজ্ঞানবুক

লেখাটি কেমন কমেন্ট করে জানান। শেয়ার করুন এই পেজটি। পড়ুন অন্যান্য পোস্টগুলিও। youtube facebook

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন