classes
classes
 *West Bengal board only.

বায়োফুয়েল কী ?

{tocify} $title={এক নজরে শিরোনাম}
বায়োফুয়েল কী ?


বায়োফুয়েল কী ?

উত্তর: উদ্ভিদ বা অনুজীবের মধ্যে আত্তীকরণ হওয়া কার্বন ঘটিত যৌগ থেকে ভৌত বা রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় তৈরি জ্বালানিকে বায়ো ফুয়েল বলে।

বায়ো ফুয়েল -এর মধ্যে প্রধান হল — বায়ো ইথানল, বায়োডিজেল, গ্রীন ডিজেল, বায়ো ইথার।


বায়ো ইথানল

বায়ো ইথানল এর উৎস: শর্করা বা স্টার্চ সমৃদ্ধ আখ থেকে প্রাপ্ত চিনি, ঝোলা গুড় অথবা ভুট্টা থেকে সন্ধান প্রক্রিয়ায় বায়ো ইথানল তৈরি করা হয়।

বায়ো ইথানল এর ব্যবহার: বায়ো ইথানলকে সাধারণত গ্যাসোলিন বা পেট্রোলের সঙ্গে মিশিয়ে যানবাহন চালাতে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা হয়। একে পাওয়ার অ্যালকোহল বা গ্যাসহোল বলে।


বায়োডিজেল

বায়োডিজেলের উৎস: উদ্ভিজ্জ তেল অথবা প্রাণীর চর্বি থেকে বিশেষ রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় বায়োডিজেল তৈরি করা হয়। জ্যাট্টোফা গাছের বীজ থেকে তৈরি তেলের প্রক্রিয়াকরণ এর মাধ্যমে বায়ো-ডিজেল তৈরি করা হয়। শ্যাওলা জাতীয় অথবা অন্যান্য অণুজীব প্রোটিন থেকে বায়োডিজেল তৈরি করতে সক্ষম।

বায়োডিজেলের ব্যবহার: বায়ো ডিজেলকে খনিজ ডিজেলের সঙ্গে মিশিয়ে ডিজেল ইঞ্জিন যুক্ত যানবাহনে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ডিজেল জেনারেটর চালাতে ব্যবহার করা হয়।


গ্রীন ডিজেল

গ্রীন ডিজেলের উৎস: গ্রীন ডিজেল বর্তমানে রিনিউয়েবল ডিজেল নামে পরিচিত। গ্রীন ডিজেল হাইড্রোট্রিটিং, গ্যাসোফিকেশন, পাইরোলাইসিস এবং অন্যান্য থার্মোকেমিক্যাল ও বায়োকেমিক্যাল পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়।

গ্ৰীন ডিজেলের ব্যবহার: স্পার্ক-ইগনিশন ইঞ্জিন যুক্ত যানবাহনে ব্যবহারের উপযুক্ত এই গ্ৰীন ডিজেল।


বায়োইথার

বায়োইথারের উৎস: বিভিন্ন জৈব অ্যালকোহলের ডিহাইড্রেশন পদ্ধতির মাধ্যমে বায়ো ইথার তৈরি হয়।

বায়োইথারের ব্যবহার: বিষহীন, কার্সিনোজেনিক এবং নন মিউটাজেনিক, খুব কম প্রতিক্রিয়াশীলতার জন্য বিভিন্ন যানবাহনে এটি ব্যবহারের উপযুক্ত।



বায়োফুয়েলের সুবিধা

1. বায়ো ফুয়েল হলো একটি অত্যন্ত শক্তিশালী জ্বালানি।

2. গ্যাসোলিনের থেকে বায়োফুয়েলের দাম কম।

3. বায়ো ফুয়েল এর ব্যবহারে ইঞ্জিনের স্থায়িত্ব বেড়ে যায়।

4. গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে বায়ো ফুয়েল গ্রীন হাউস গ্যাস 65% পর্যন্ত কম করতে সাহায্য করে।

5. বায়ো ফুয়েল এর দূষণের মাত্রা একদমই কম। বায়ো ফুয়েল জ্বালানিতে খুবই কম পরিমাণের কার্বন-ডাই-অক্সাইড তৈরি হয়, যেখানে অন্যান্য জ্বালানির ক্ষেত্রে অনেকটাই বেশি পরিমাণের কার্বন-ডাই-অক্সাইড তৈরি হয়।


বায়োফুয়েলের অসুবিধা

1. বায়ো ফুয়েল তৈরি করতে অনেক পরিমাণ খরচ হয়।

2. বায়ো ফুয়েল বিভিন্ন উদ্ভিদের থেকে তৈরি হয়। এই উদ্ভিদ গুলি কে সঠিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন রকমের ফার্টিলাইজার ব্যবহার করা হয় যা পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকারক।

3. বায়ো ফুয়েল তৈরি করতে প্রচুর পরিমাণে জলের প্রয়োজন হয়।

বিজ্ঞানবুক

লেখাটি কেমন কমেন্ট করে জানান। শেয়ার করুন এই পেজটি। পড়ুন অন্যান্য পোস্টগুলিও। youtube facebook

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন