নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞান বুকে। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো ল্যাম্পব্রাশ ক্রোমোজোম এর সম্পর্কে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
ল্যাম্পব্রাশ ক্রোমোজোম কাকে বলে ?
উত্তর: যে দৈত্যাকার ক্রোমোজোম দেখতে চিমনি পরিষ্কার করা ব্রাশের মতো হয় তাকে ল্যাম্পব্রাশ ক্রোমোজোম বলে।
ল্যাম্পব্রাশ ক্রোমোজোমের আবিষ্কার
1882 খ্রিস্টাব্দে, বিজ্ঞানী ফ্লেমিং সর্বপ্রথম এই ধরনের ক্রোমোজোম লক্ষ্য করেন। এই ক্রোমোজোম চিমনি পরিষ্কার করার ব্রাশের মতো দেখতে বলে রুকার্ট একে ল্যাম্পব্রাশ ক্রোমোজোম নামে নামকরণ করেন।
ল্যাম্পব্রাশ ক্রোমোজোমের প্রাপ্তিস্থান
যে সমস্ত প্রাণীতে কুসুম সমৃদ্ধ ঊসাইট (Oocyte) গঠিত হয়, তাদের ঊসাইট নিউক্লিয়াস এর মিয়োসিস কোশ বিভাজনের ডিপ্লোটিন দশায় বিশাল আকৃতির ল্যাম্পব্রাশ ক্রোমোজোম দেখা যায়। মাছ, উভচর ও সরীসৃপের প্রাথমিক ঊসাইটে ল্যাম্পব্রাশ ক্রোমোজোম দেখা যায়।
ল্যাম্পব্রাশ ক্রোমোজোমের গঠন
ল্যাম্পব্রাশ ক্রোমোজোম প্রজাতিভেদে 1000-5000μm লম্বা হয়। এই ক্ষেত্রে সমসংস্থ ক্রোমোজোম গুলি পাশাপাশি অবস্থান করে এবং কায়াজমা অঞ্চলে এই ক্রোমোজোম গুলি পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত অবস্থায় থাকে। ল্যাম্পব্রাশ ক্রোমোজোমে ক্রোমোনিমার সংখ্যা মিয়োসিস ক্রোমোজোমের ক্রোমোনিমার সংখ্যার সমান হয়। প্রতিটি ক্রোমোমিয়ার থেকে লুপ বা ফাঁস সৃষ্টি হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একটি ক্রোমোমিয়ার থেকে একজোড়া লুপ সৃষ্টি হয়, তবে এই লুপের সংখ্যা এক থেকে নয় পর্যন্ত হতে পারে। একটি ল্যাম্পব্রাশ ক্রোমোজোমে মোট লুপের সংখ্যা এবং একটি লুপ থেকে পরবর্তী লুপের দুরত্ব নির্দিষ্ট হয়।
ল্যাম্পব্রাশ ক্রোমোজোমের জিনগত বৈশিষ্ট্য
প্রতিটি ক্রোমোজোমের দুটি করে ক্রোমাটিড যুক্ত হয়ে কেন্দ্রীয় অক্ষ সৃষ্টি করে। পার্শ্বীয় লুপ গুলি জিনগত ভাবে সক্রিয় এবং এই অঞ্চল থেকে RNA ও প্রোটিন সংশ্লেষ হয়।
প্রশ্ন উত্তর
ক্যারিওটাইপ কাকে বলে ?
উত্তর: কোনো প্রজাতির বিশেষ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যযুক্ত স্থায়ী ক্রোমোজোম গুলিকে ক্যারিওটাইপ বলে।
ইডিওগ্ৰাম কাকে বলে ?
উত্তর: কোনো প্রজাতির ক্রোমোজোমের আপেক্ষিক আয়তন ও আকৃতির প্রতিরূপকে ইডিওগ্ৰাম বলে।
কেমন লাগছে বিজ্ঞানবুক পড়তে? অবশ্যই জানান কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে। আপনি কি Bigyanbook এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করেছেন? যদি না করে থাকেন তাহলে এক্ষুনি ইউটিউবে গিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন বিজ্ঞানবুক এর ইউটিউব চ্যানেল। ফলো করুন বিজ্ঞানবুক -কে ফেসবুকে। শেয়ার করুন এই আর্টিকেলটি অন্যান্যদের সাথে। পড়তে থাকুন বিজ্ঞানবুক। ধন্যবাদ।।