নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞান বুকে। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো, পত্ররন্ধ্র কাকে বলে, পত্ররন্ধের গঠন, পত্ররন্ধের কাজ সম্পর্কে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক।
পত্ররন্ধ্র কাকে বলে? (What is stomata?)
উদ্ভিদের পাতা ও বীরুৎ জাতীয় উদ্ভিদের কান্ডে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রন্ধ্র বর্তমান। এই রন্ধ্র গুলিকে পত্ররন্ধ্র বা Stomata বলে।
স্টোমা কাকে বলে? (What is stoma?)
একটি মাত্র পত্ররন্ধ্রকে স্টোমা বলে।
পত্ররন্ধ্রের গঠন
প্রতিটি পত্ররন্ধ একটি কেন্দ্রীয় ছিদ্র এবং দুটি আংশিকভাবে যুক্ত রক্ষীকোষ নিয়ে গঠিত। একবীজপত্রী উদ্ভিদের রক্ষীকোষ ডম্বরু (dumble) আকারের এবং দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের অর্ধচন্দ্রাকৃতি আকারের হয়। সাধারণত রক্ষীকোষ দুটিকে দুই থেকে চারটি ত্বক কোষ বেষ্টন করে থাকে। এদের আনুষঙ্গিক কোষ (subsidiary cells) বলে। প্রতিটি পত্ররন্ধের নীচে একটি বায়ু গহবর থাকে। একে শ্বাস গহবর (respiratory cavity) বলে। রক্ষীকোষ গুলিতে সাইটোপ্লাজম, নিউক্লিয়াস, ক্লোরোপ্লাস্ট এবং স্টার্চ দানা থাকে। করবী (Nerium) , ক্যাসুরিনা (Casuarina) প্রভৃতি উদ্ভিদের পত্ররন্ধ, বহিঃস্ত্বকের নীচে একটি গর্তের মধ্যে লুকিয়ে থাকে। এদের নিমজ্জিত পত্ররন্ধ্র (sunken stomata) বলে। পত্ররন্ধ্র ও আনুষঙ্গিক কোষগুলিকে একত্রে পত্ররন্ধ্র যৌগ (stomatal complex) বলে। রক্ষীকোষ এ শর্করা রসস্ফীতির তারতম্যের ফলে পত্ররন্ধ্রের ছিদ্র খোলে এবং বন্ধ হয়।
পত্ররন্ধের কাজ (Function of Stomata)
1. শ্বাসকার্যে বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ ও উদ্ভিদ দেহে উৎপন্ন কার্বন ডাই অক্সাইড বাতাসে নির্গমন পত্ররন্ধের মাধ্যমে হয়।
2. সালোকসংশ্লেষে প্রয়োজনীয় কার্বন-ডাই-অক্সাইড বাতাস থেকে পত্ররন্ধের মাধ্যমেই উদ্ভিদ গ্রহণ করে এবং প্রক্রিয়া শেষে উৎপন্ন অক্সিজেন উদ্ভিত দেহ থেকে পত্ররন্ধের মাধ্যমে বাতাসে মিশে যায়।
3. পত্ররন্ধের রক্ষী কোষে ক্লোরোপ্লাস্ট থাকায় পত্ররন্ধ্র সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরি করতে পারে।
4. মাটি থেকে শোষিত অতিরিক্ত জল বাষ্পের আকারে বাষ্পমোচন প্রক্রিয়ায় পত্ররন্ধ্র বের করে দেয়।
আরো বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানার জন্য বিজ্ঞান বুক ফলো করতে থাকুন। পড়তে থাকুন বিজ্ঞান বুকের অন্যান্য আর্টিকেল গুলি। শেয়ার করুন বিজ্ঞান বুকের এই আর্টিকেলটি। আপনার আত্মীয়-পরিজন বন্ধুদেরকে বিজ্ঞান বুকের বিষয়ে জানান এবং তাদেরকে বিজ্ঞান বুক পড়তে বলুন। সাবস্ক্রাইব করুন বিজ্ঞান বুক ইউটিউব এ। লাইক এবং ফলো করুন বিজ্ঞান বুক ফেসবুকে।
বিজ্ঞান বুক হলো বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে একটি অন্যতম ওয়েবসাইট। দেখতে থাকুন বিজ্ঞান বুক। আরো অনেক বেশি তথ্য জানার জন্য। শেয়ার করুন বিজ্ঞান বুক এর প্রতিটি আর্টিকেল আপনার আত্মীয়-পরিজন বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে। ধন্যবাদ।।