নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞান বুক এ। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সিলেবাস অনুযায়ী দশম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান এর প্রথম অধ্যায় "জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়" থেকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।
1. চলন কাকে বলে?
যে প্রক্রিয়ায় জীব নির্দিষ্ট স্থানে স্থির থেকে অর্থাৎ স্থানান্তর না করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বা উদ্দীপক এর সাহায্যে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালন করে তাকে চলন বলে।
2. গমন কাকে বলে?
যে প্রক্রিয়ায় স্বেচ্ছায় বা উদ্দীপকের প্রভাবে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালন এর দ্বারা সামগ্রিকভাবে স্থান পরিবর্তন করে তাকে গমন বলে।
3. ট্যাকটিক চলন কাকে বলে?
আলো, তাপমাত্রা, রাসায়নিক পদার্থ, বিদ্যুৎশক্তি প্রভৃতি উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদের বা উদ্ভিদ অঙ্গের স্থান পরিবর্তনকে ট্যাকটিক চলন বা আবিষ্ট চলন বলে।
4. ফটো ট্যাকটিক চলন কাকে বলে?
সমগ্র উদ্ভিদ দেহে যখন আলোক উদ্দীপকের প্রভাবে স্থান পরিবর্তন করে তাকে ফটো ট্যাকটিক চলন বা আলোক অভিমুখী চলন বলে।
5. ট্রপিক চলন কাকে বলে?
উদ্দীপকের উৎসের দিকে বা উদ্দীপকের গতিপথের দিকে উদ্ভিদ অঙ্গের চলনকে ট্রপিক চলন বলে।
6. ট্রপিক চলন কয় প্রকারের?
ট্রপিক চলন তিন প্রকারের হয়। ফটোট্রপিক চলন, হাইড্রো ট্রপিক চলন এবং জিওট্রপিক চলন।
7. উদ্ভিদের চলনকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
উদ্ভিদের চলন কে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়। ট্যাকটিক চলন, ট্রপিক চলন এবং ন্যাস্টিক চলন।
8. ফটোট্রপিক চলন কাকে বলে?
উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন আলোক উৎসের গতিপথ অনুযায়ী হয়, তখন তাকে ফটোট্রপিক চলন বলে।
9. হাইড্রো ট্রপিক চলন কাকে বলে?
উদ্ভিদ অঙ্গের চলনকে যখন জলের উৎসের গতিপথ অনুযায়ী হয়, তখন তাকে হাইড্রো ট্রপিক চলন বলে।
10. জিওট্রপিক চলন কাকে বলে?
উদ্ভিদ অঙ্গের চলনকে যখন মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে অভিকর্ষের গতিপথ অনুসারে হয় তখন তাকে অভিকর্ষবৃত্তি বা অভিকর্ষবর্তি বা জিওট্রপিক চলন বলে।
11. ন্যাস্টিক চলন কাকে বলে?
উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের গতিপথ অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত না হয়ে, উদ্দীপকের তীব্রতা উপর নির্ভর করে নিয়ন্ত্রিত হয়, তখন সেই প্রকারের চলনকে ন্যাস্টিক চলন বা ব্যাপ্তি চলন বলে।
12. ফটোন্যাস্টিক চলন কাকে বলে?
উদ্ভিদ অঙ্গের সঞ্চালন যখন আলোর তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তখন তাকে ফটোনাস্টিক চলন বলে বা আলোক ব্যাপ্তি চলন বলে।
13. থার্মোন্যাস্টিক চলন কাকে বলে?
উদ্ভিদ অঙ্গের সঞ্চালন বা চলন যখন উষ্ণতার তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তখন তাকে থার্মোন্যাস্টিক চলন বলে বা তাপব্যাপ্তি চলন বলে।
14. সিসমোন্যাস্টিক চলন কাকে বলে?
স্পর্শ, ঘর্ষণ, আঘাত, বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতি উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদের যে ন্যাস্টিক চলন ঘটে তাকে সিসমোন্যাস্টিক চলন বা স্পর্শ ব্যাপ্তি চলন বলে।
15. উদ্দীপকের প্রকৃতি অনুযায়ী ন্যাস্টিক চলন কয় প্রকার এবং কি কি?
উদ্দীপকের প্রকৃতি অনুযায়ী ন্যাস্টিক চলন চার প্রকার। ফটোন্যাস্টিক চলন, থার্মোন্যাস্টিক চলন, সিসমোন্যাস্টিক চলন এবং কেমোনাস্টিক চলন।
16. কেমোন্যাস্টিক চলন কাকে বলে?
কোনো রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে উদ্ভিদ অঙ্গের যে সঞ্চালন বা চলন ঘটে তাকে কেমোন্যাস্টিক চলন বলে।
17. কেমোন্যাস্টিক চলন এর উদাহরণ স্বরূপ একটি উদ্ভিদের নাম লেখো।
সূর্যশিশির উদ্ভিদে কেমোন্যাস্টিক চলন দেখা যায়।
18. হরমোন কাকে বলে?
যে জৈব রাসায়নিক পদার্থ বিশেষ কোশসমষ্টি বা অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়ে, দেহতরলের মাধ্যমে উৎপত্তি স্থল থেকে দূরে বাহিত হয়ে কোষের বিপাকীয় ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে এবং ক্রিয়া শেষে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, তাকে হরমোন বলে।
19. উদ্ভিদ হরমোন কয় প্রকার এবং কি কি?
উদ্ভিদ হরমোন তিন প্রকার। যথা - অক্সিন, জিব্বেরেলিন ও সাইটোকাইনিন।
20. অক্সিন কাকে বলে?
উদ্ভিদের কান্ড ও মূলের অগ্রভাগে, ভ্রূণমুকুলাবরণী, বর্ধনশীল পাতার কোষে সংশ্লেষিত, নাইট্রোজেন ঘটিত যে জৈব অম্ল উদ্ভিদের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে তাকে অক্সিন বলে।
21. অক্সিনের রাসায়নিক উপাদান কি কি?
অক্সিনের রাসায়নিক উপাদান হলো কার্বন (C), হাইড্রোজেন (H), অক্সিজেন (O) এবং নাইট্রোজেন (N)।
22. কোন হরমোন ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ করে?
অক্সিন হরমোন ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ করে।
23. জিব্বেরেলিন কাকে বলে?
উদ্ভিদের পরিপক্ক বীজ, অঙ্কুরিত চারা গাছ, বীজ পত্র, মুকুল ইত্যাদিতে সংশ্লেষিত টারপিনয়েড গোষ্ঠীর যে জৈব অম্ল উদ্ভিদের বৃদ্ধি ঘটায় এবং বীজের সুপ্ত দশা হ্রাস করে এবং ফুল ধারনে সাহায্য করে তাকে জিব্বেরেলিন বলে।
24. জিব্বেরেলিন এর রাসায়নিক নাম কি?
জিব্বেরেলিন এর রাসায়নিক নাম জিবরেলিক অ্যাসিড (GA)।
25. মুকুল ও বীজের সুপ্তাবস্থা কোন হরমোন ভঙ্গ করে?
জিব্বেরেলিন হরমোন মুকুল ও বীজের সুপ্তাবস্থা ভঙ্গ করে।
26. সাইটোকাইনিন কাকে বলে?
ফল ও বীজ এর মধ্যে সংশ্লেষিত পিউরিন জাতীয় নাইট্রোজেন ঘটিত যে ক্ষারীয় জৈব পদার্থ কোষ বিভাজনকে উদ্দীপিত করে, তাকে সাইটোকাইনিন বলে।
27. কোন হরমোনের প্রভাবে উদ্ভিদের পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধি ঘটে?
সাইটোকাইনিন হরমোন এর প্রভাবে উদ্ভিদের পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধি ঘটে।
28. কৃত্রিম হরমোন কাকে বলে?
যেসব হরমোন ল্যাবরেটরীতে সংশ্লেষ করা হয় অথচ প্রাকৃতিক হরমোন এর মতই কার্যকরী হয় তাদের কৃত্রিম হরমোন বলে।
29. দুটি কৃত্রিম হরমোনের উদাহরণ দাও।
দুটি কৃত্রিম হরমোনের উদাহরণ হলো, ইনডোল বিউটারিক অ্যাসিড (IBA), ন্যাপথক্সি অ্যাসিটিক অ্যাসিড (NAA)।
30. ইনসুলিন কোথা থেকে ক্ষরিত হয়?
অগ্ন্যাশয় এর বিটা কোষ থেকে ইনসুলিন ক্ষরিত হয়।
31. কোন হরমোন শুক্রাশয় থেকে ক্ষরিত হয়?
টেস্টোস্টেরন হরমোন শুক্রাশয় থেকে ক্ষরিত হয়।
32. পিটুইটারি কে মাস্টার গ্ল্যান্ড কেন বলে?
পিটুইটারি গ্রন্থি নিঃসৃত হরমোন অন্যান্য অন্তঃক্ষরা গ্ৰন্থির ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে বলে, পিটুইটারিকে মাস্টার গ্ল্যান্ড বলে।
33. মানবদেহের বৃদ্ধিতে কোন হরমোন সহায়তা করে?
সোমাটোট্রপিক হরমোন বা গ্ৰোথ হরমোন মানবদেহের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
34. থাইরয়েড গ্রন্থির অবস্থান কোথায়?
গ্ৰীবাদেশের ল্যারিংসের নীচে ট্রাকিয়ার দুপাশে থাইরয়েড গ্রন্থি অবস্থিত।
35. একটি অ্যান্টিডায়াবেটিক হরমোন এর নাম লেখো।
একটি অ্যান্টিডায়াবেটিক হরমোনের নাম হলো ইনসুলিন।
36. অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন গুলির নাম লেখো।
অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন গুলির নাম হলো, অ্যাড্রেনালিন এবং নর-অ্যাড্রেনালিন হরমোন।
37. কোন হরমোনকে জরুরিকালীন বা সংকটকালীন হরমোন বলে?
অ্যাড্রেনালিন হরমোনকে জরুরিকালীন বা সংকটকালীন হরমোন বলে।
38. ডিম্বাশয় থেকে নিঃসৃত হরমোন গুলির নাম লেখো।
ডিম্বাশয় থেকে নিঃসৃত হরমোন গুলির নাম হলো ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন।
39. কোন হরমোনের কম ক্ষরনের ফলে গয়টার রোগ সৃষ্টি হয়?
থাইরক্সিন হরমোনের কম ক্ষরণের ফলে গয়টার রোগ সৃষ্টি হয়।
40. কোন হরমোনের কম ক্ষরণের ফলে বামনত্ব রোগ সৃষ্টি হয়?
সোমাটোট্রফিক হরমোন (STH) বা গ্রোথ হরমোনের কম ক্ষরণের ফলে বামনত্ব রোগ সৃষ্টি হয়।
41. স্নায়ুতন্ত্র কাকে বলে?
স্নায়ু কোষ ও নিউরোগ্লিয়া দিয়ে গঠিত যে তন্ত্রের সাহায্যে প্রাণীদেহে উদ্দীপনা গ্রহণ, উদ্দীপনায় সাড়া দিয়ে পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা এবং দেহের বিভিন্ন যন্ত্র ও তন্ত্রের কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধন হয় তাকে স্নায়ুতন্ত্র বা নার্ভাস সিস্টেম বলে।
42. প্রবর্ধক বা প্রসেস কাকে বলে?
স্নায়ু কোষের কোষ দেহ থেকে নির্গত সূত্রাকার অংশগুলিকে প্রবর্ধক প্রসেস বলে।
43. ডেনড্রন কাকে বলে?
কোষদেহ থেকে নির্গত ক্ষুদ্র শাখা-প্রশাখা যুক্ত যে প্রবর্ধক গুলি স্নায়ু স্পন্দন পূর্ববর্তী নিউরন বা রিসেপ্টর থেকে গ্রহণ করে কোশদেহে প্রেরণ করে তাদের ডেনড্রন বলে।
44. অ্যাক্সন কাকে বলে?
নিউরোনের যে দীর্ঘ ও আজ্ঞাবহ প্রবর্ধক স্নায়ু স্পন্দনকে কোষদেহ থেকে পরবর্তী নিউরোনে বা কারকে বহন করে তাকে অ্যাক্সন বলে।
45. অ্যাক্সন এর উপরে কয়টি আবরণ থাকে এবং কি কি?
অ্যাক্সন এর উপরে তিনটি আবরণী থাকে। যে গুলি হলো, অ্যাক্সোলেমা, মেডুলারি আবরণ বা মায়োলিন সিদ্ এবং নিউরিলেমা।
46. স্নায়ু কাকে বলে?
যোগ কলার আবরণী বেষ্টিত, রক্তবাহ ও ফ্যাট কোষ যুক্ত স্নায়ুতন্ত্রগুচ্ছকে স্নায়ু বা নার্ভ বলে।
47. যোগ কলার আবরণ কয় প্রকার এবং কি কি?
যোগ কলার আবরণ তিন প্রকারের। যে গুলি হলো, বাইরে থেকে ভিতর অনুযায়ী, এপিনিউরিয়াম, পেরিনিউরিয়াম ও এন্ডোনিউরিয়াম।
48. স্নায়ু গ্রন্থি কাকে বলে? বা নার্ভ গ্যাংলিয়ন কাকে বলে?
কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের বাইরে কয়েকটি স্নায়ু কোষের কোষ দেহগুলি যোগ কলার আবরণী পরিবেষ্টিত হয়ে যে ঈষৎ স্ফীত গ্ৰন্থির সৃষ্টি করে তাকে স্নায়ু গ্রন্থি বলে।
49. স্নায়ু সন্নিধি কাকে বলে? বা সাইন্যাপস কাকে বলে?
দুটি নিউরনের যে সংযোগস্থলে একটি নিউরোনের শেষ এবং অপর নিউরোনের শুরু তাকে সাইন্যাপস বা স্নায়ু সন্নিধি বলে।
50. প্রাণীদের স্নায়ুতন্ত্র কয় প্রকার এবং কি কি?
প্রাণীদের স্নায়ুতন্ত্র তিন প্রকারের। যে গুলি হলো, কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র, প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র এবং স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র।
51. মস্তিষ্কের প্রধান অংশ গুলির নাম লেখো।
মস্তিষ্কের প্রধান অংশ গুলি হল অগ্রমস্তিষ্ক, মধ্য মস্তিষ্ক এবং পশ্চাৎ মস্তিষ্ক।
52. পনস্ বা যোজক কী?
পনস বা যোজক হলো পশ্চাৎ মস্তিষ্কের অংশ। এটি মধ্য মস্তিষ্কের সঙ্গে লঘু মস্তিষ্ক এবং সুষুম্নাশীর্ষক এর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে।
53. প্রতিবর্ত পথ কাকে বলে?
যে পথে প্রতিবর্ত ক্রিয়ার স্নায়ু স্পন্দন আবর্তিত হয় তাকে প্রতিবর্ত পথ বা রিফ্লেক্স আর্ক বলে।
54. প্রতিবর্ত ক্রিয়া কাকে বলে?
প্রাণীদেহে নির্দিষ্ট সংজ্ঞাবহ উদ্দীপনার প্রভাবে যে স্বতঃস্ফূর্ত তাৎক্ষণিক ও অনৈচ্ছিক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় তাকে প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে।
55. প্রতিবর্ত ক্রিয়া কে কয় ভাগে ভাগ করা যায় এবং কি কি?
প্রতিবর্ত ক্রিয়া কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেগুলি হলো, জন্মগত প্রতিবর্ত ক্রিয়া এবং অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়া।
56. জন্মগত প্রতিবর্ত ক্রিয়া কাকে বলে?
যেসব প্রতিবর্ত ক্রিয়া পূর্বপুরুষ থেকে প্রাপ্ত, স্থির এবং কোন শর্তের অধীন নয় তাদের জন্মগত প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে।
57. অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়া কাকে বলে?
যেসব প্রতিবর্ত ক্রিয়া জন্মগত নয়, বারবার অনুশীলনের মাধ্যমে অর্জিত হয় এবং নির্দিষ্ট শর্তের অধীন, তাদের অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে।
58. স্ক্লেরা বা শ্বেতমণ্ডল এর কাজ কি?
স্ক্লেরা বা শ্বেতমন্ডল কোরয়েডকে রক্ষা করে।
59. উপযোজন কাকে বলে?
স্থান পরিবর্তন না করে অক্ষিগোলকের পেশি ও লেন্সের সাহায্যে যে পদ্ধতিতে বিভিন্ন দূরত্বে অবস্থিত বস্তুকে স্পষ্টভাবে দেখা যায় তাকে উপযোজন বা অ্যাকোমোডেশন বলে।
60. মায়োপিয়া কাকে বলে?
যে দৃষ্টিতে দূরের দৃষ্টি ব্যাহত হয়, কিন্তু নিকটদৃষ্টি ঠিক থাকে তাকে মায়োপিয়া বা নিকট দৃষ্টি বলে।
61. হাইপারমেট্রোপিয়া বা হাইপেরোপিয়া কাকে বলে?
যে দৃষ্টিতে নিকটের দৃষ্টি ব্যাহত হয়, কিন্তু দূরের দৃষ্টি ঠিক থাকে তাকে হাইপেরোপিয়া বা হাইপারমেট্রোপিয়া দূরবদ্ধ দৃষ্টি বলে।
62. অ্যামিবয়েড গমন কাকে বলে?
যে পদ্ধতিতে অ্যামিবা গমন করে তাকে অ্যামিবয়েড গমন বলে।
63. সিলিয়ারি গমন কাকে বলে?
প্যারামেসিয়াম এর বহিরাবরণে অবস্থিত সিলিয়ার আন্দোলনের সাহায্যে গমন করে বলে এদের গমনকে সিলিয়ারি গমন বলে।
64. ফ্লাজেলীয় গমন কাকে বলে?
ফ্লাজেলা সাহায্যে গমন পদ্ধতিকে ফ্ল্যাজেলীয় গমন বলে।
65. পায়রার কতগুলি রেমিজেস থাকে?
পায়রার 23টি রেমিজেস থাকে।
66. পায়রার কতগুলি রেকট্রিসেস থাকে?
পায়রার 12টি রেকট্রিসেস থাকে।
67. রেমিজেস কাকে বলে?
পায়রার দুটি ডানার প্রান্তভাগে 23টি বড়ো পালক, যেগুলি ডানাজল বৃদ্ধি করে উন্নয়নের সাহায্য করে তাদের রেমিজেস বলে।
68. রেকট্রিসেস কাকে বলে?
পায়রার পুচ্ছ ভাগে 12টি বড় পালক উদ্যানের সময় দিক পরিবর্তনের সাহায্য করে এদের রেকট্রিসেস বলে।
69. পায়রার উড্ডয়ন পেশী গুলির নাম কি কি?
পায়রার উড্ডয়ন পেশিগুলির নাম হলো, পেক্টোরালিস মেজর, পেক্টোরালিস মাইনর এবং কোরাকো ব্রাকিয়ালিস।
70. মানুষের গমনকে কি গমন বলে?
মানুষের গমন কে দ্বিপদ গমন বলে।
71. সচল অস্থিসন্ধি কাকে বলে?
দুটি অস্থির সংযোগস্থলকে অস্থিসন্ধি বলে। যেসব অস্থিসন্ধি নড়াচড়া করতে পারে তাদের সচল অস্থি সন্ধি বলে।
72. সচল অস্থি সন্ধির দুটি উদাহরণ দাও?
সচল অস্থি সন্ধির দুটি উদাহরণ হলো, বল ও সকেট সন্ধি এবং কব্জা সন্ধি।
73. ফ্লেক্সন কাকে বলে?
যে প্রক্রিয়ায় দুটি অস্থি ভাঁজ হতে বা কাছাকাছি আসতে সহায়তা করে তাকে ফ্লেক্সন বলে।
74. রোটেশন কাকে বলে?
যে প্রক্রিয়ায় দেহের কোনো অংশ আবর্তিত হয় তাকে রোটেশন বলে।
75. রোটেটর পেশী কাকে বলে?
রটেশন এ অংশগ্রহণকারী পেশীকে রোটেটর বেশি বলে।
দেখুন আরও দশম শ্রেণী জীবনবিজ্ঞান আর্টিকেল
আরো বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানার জন্য বিজ্ঞান বুক ফলো করতে থাকুন। পড়তে থাকুন বিজ্ঞান বুকের অন্যান্য আর্টিকেল গুলি। শেয়ার করুন বিজ্ঞান বুকের এই আর্টিকেলটি। আপনার আত্মীয়-পরিজন বন্ধুদেরকে বিজ্ঞান বুকের বিষয়ে জানান এবং তাদেরকে বিজ্ঞান বুক পড়তে বলুন। সাবস্ক্রাইব করুন বিজ্ঞান বুক ইউটিউব এ। লাইক এবং ফলো করুন বিজ্ঞান বুক ফেসবুকে।
বিজ্ঞান বুক হলো বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে একটি অন্যতম ওয়েবসাইট। দেখতে থাকুন বিজ্ঞান বুক। আরো অনেক বেশি তথ্য জানার জন্য। শেয়ার করুন বিজ্ঞান বুক এর প্রতিটি আর্টিকেল আপনার আত্মীয়-পরিজন বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে। ধন্যবাদ।।