নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞান বুকে। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো কিছু পার্থক্য সম্বন্ধে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
ঘর্ম গ্ৰন্থি ও সিবেসিয়াস গ্ৰন্থির পার্থক্য
১) ঘর্মগ্ৰন্থি : ত্বকের অন্তঃস্ত্বকে বা ডার্মিস স্তরে অবস্থিত কুন্ডলীকৃত গ্ৰন্থি হলো ঘর্ম গ্ৰন্থি।
সিবেসিয়াস গ্ৰন্থি : ডার্মিস স্তরে অবস্থিত ন্যাসপাতির ন্যায় গ্ৰন্থি হলো সিবেসিয়াস গ্ৰন্থি।
২) ঘর্মগ্ৰন্থি : ঘর্ম গ্ৰন্থি থেকে ক্ষরিত পদার্থ সরাসরি ত্বকে মুক্ত হয়।
সিবেসিয়াস গ্ৰন্থি : সিবেসিয়াস গ্ৰন্থি থেকে ক্ষরিত পদার্থ নালিকা মাধ্যমে রোমকূপে উন্মুক্ত হয়।
৩) ঘর্মগ্ৰন্থি : ঘর্ম গ্ৰন্থি থেকে স্বেদ বা ঘর্ম ক্ষরিত হয়।
সিবেসিয়াস গ্ৰন্থি : সিবেসিয়াস গ্ৰন্থি থেকে সিবাম ক্ষরিত হয়।
নিমাটোডা ও সিস্টোডা এর পার্থক্য
১) নিমাটোডা : অ্যাস্কেলহেলমিনথিস পর্বের একটি শ্রেণি।
সিস্টোডা : প্ল্যাটিহেলমিনথিস পর্বের একটি শ্রেণি।
২) নিমাটোডা : দেহ অখন্ডিত, লম্বা, বেলুন আকার।
সিস্টোডা : দেহ কতকগুলি খন্ড বা প্রোগ্লটিড নামক খন্ডে বিভক্ত।
৩) নিমাটোডা : দেহে যৌন দ্বিরূপতা দেখা যায়। অর্থাৎ পুরুষ ও স্ত্রী লিঙ্গে বিভক্ত।
সিস্টোডা : যৌন দ্বিরূপতা দেখা যায় না। উভলিঙ্গ।
অন্তঃক্ষরা ও বহিঃক্ষরা গ্ৰন্থির পার্থক্য (Difference between Endocrine gland and Exocrine gland)
১) অন্তঃক্ষরা গ্ৰন্থি : এই গ্ৰন্থিকে অনাল গ্ৰন্থি বলে।
বহিঃক্ষরা গ্ৰন্থি : এই গ্ৰন্থিকে সনাল গ্ৰন্থি বলে।
২) অন্তঃক্ষরা গ্ৰন্থি : এই গ্ৰন্থিতে নালি নেই।
বহিঃক্ষরা গ্ৰন্থি : এই গ্ৰন্থিতে নালি আছে।
৩) অন্তঃক্ষরা গ্ৰন্থি : এই প্রকারের গ্ৰন্থি থেকে হরমোন ক্ষরিত হয়।
বহিঃক্ষরা গ্ৰন্থি : এই প্রকারের গ্ৰন্থি থেকে উৎসেচক ক্ষরিত হয়।
৪) অন্তঃক্ষরা গ্ৰন্থি : উদাহরণ - পিটুইটারি গ্রন্থি, থাইরয়েড গ্রন্থি।
বহিঃক্ষরা গ্ৰন্থি : উদাহরণ - লালা গ্ৰন্থি, পাকস্থলী।
হেটেরোসারকাল পুচ্ছ ও হোমোসারকাল পুচ্ছ এর মধ্যে পার্থক্য (Difference between Heterocercal tail and Homocercal tail)
১) হেটেরোসারকাল পুচ্ছ : পুচ্ছ পাখনা অসমান অংশে বিভক্ত হয়।
হোমোসারকাল পুচ্ছ : পুচ্ছ পাখনা সমান অংশে বিভক্ত। অর্থাৎ প্রতিসম।
২) হেটেরোসারকাল পুচ্ছ : মেরুদন্ডের অংশ পুচ্ছ পাখনার উর্দ্ধখন্ডে অবস্থান করে। উদাহরণ - Scoliodon sp. ।
হোমোসারকাল পুচ্ছ : মেরুদন্ডের প্রান্তটি পুচ্ছের সামান্য উপরে থাকে। উদাহরণ - Catla catla ।
কমেনশালিজম ও সিমবায়োসিস এর পার্থক্য | ব্যাতিহার জীবিতা ও মিথোজীবিতা এর পার্থক্য (Difference between Commensalism and Symbiosis)
১) কমেনশালিজম বা ব্যাতিহার জীবিতা : প্রধানত খাদ্যের কারণে দুটি জীবের পারস্পরিক সহবস্থান, যার মাধ্যমে একটি জীব উপকৃত হয় এবং অপর জীবটির কোনো লাভ বা ক্ষতি হয় না।
সিমবায়োসিস বা মিথোজীবিতা : জীবনের সম্পূর্ণ বা আংশিক সময়ে দুটি জীবের নিবিড় সম্পর্কযুক্ত সহবস্থান, যেখানে পুষ্টি ও জীবনধারণে একে অপরকে সাহায্য করে।
২) কমেনশালিজম বা ব্যাতিহার জীবিতা : উদাহরণ - ঋষিকাঁকড়া ও সাগরকুসুম।
সিমবায়োসিস বা মিথোজীবিতা : উদাহরণ - উইপোকা ও ট্রাইকোনিম্ফা।
ধন্যবাদ আপনাকে বিজ্ঞানবুক পড়ার জন্য, পড়তে থাকুন বিজ্ঞানবুক, ফলো করুন বিজ্ঞানবুক ফেসবুক, ইউটিউব -এ, শেয়ার করুন বিজ্ঞানবুকের আর্টিকেলগুলি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে, ধন্যবাদ।।