{tocify} $title={এক নজরে শিরোনাম}
পেটেন্ট কী ?
কোনো নতুন প্রয়োজনীয় আবিষ্কার (যা আগে আবিষ্কৃত হয়নি) যখন সরকারীভাবে স্বীকৃতি লাভ করে এবং তার উপর আবিষ্কারকের অধিকার স্বত্ব জন্মায় তখন তাকে পেটেন্ট বলে।
পেটেন্ট কথাটা এসেছে ল্যাটিন শব্দ পেটার (Patere) থেকে। যার অর্থ খুলে ধরা বা সাধারণের দৃষ্টিতে আনা। খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ সালে গ্ৰিস দেশের সাইবারিস শহরে প্রথম পেটেন্ট প্রথা চালু হয় বলে জানা যায়। আধুনিক পেটেন্ট চালু হয় প্রথম ১৪৭৪ খ্রিস্টাব্দে ভেনিস প্রজাতন্ত্রে। উত্তর আমেরিকায় ১৬৪১ খ্রিস্টাব্দে সামুয়েল উইনসলোকে নতুন এক পদ্ধতিতে লবণ তৈরি করার জন্য পেটেন্ট দেওয়া হয়।পরে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে পেটেন্ট চালু হয়।
কোন কোন জিনিস পেটেন্ট পাওয়ার যোগ্য
- বৈজ্ঞানিক নীতি বা তত্ত্ব নয় এমন নতুন আবিষ্কার।
- আবিষ্কার যার সাধারণত শিল্পভিত্তিক প্রয়োগ আছে।
- বিষয়টি সম্পূর্ণ অপরিচিত ও ট্র্যাডিশনাল জ্ঞান বহির্ভূত।
- আবিষ্কারটি মানুষের ও প্রকৃতির পক্ষে মঙ্গলকারক হতে হবে।
- সাধারণভাবে জৈব বৈচিত্র্যর অংশ কোনো জীব পেটেন্ট এর বহির্ভূত হলেও জিন প্রযুক্তিপ্রাপ্ত কোনো প্রাণী, উদ্ভিদ বা অণুজীব পেটেন্ট পাওয়ার যোগ্য।
- কোনো নতুন উৎপাদন, উৎপাদন পদ্ধতি, যন্ত্র অথবা কোনো পরিচিত পদ্ধতির নতুন রূপান্তরও পেটেন্ট পাওয়ার যোগ্য।
পেটেন্টের সুবিধা ও অসুবিধা
①সুবিধা: পেটেন্ট এর ওপর আবিষ্কর্তা বা অধীকারীর বেশ কিছুদিনের জন্য একছত্র স্বত্ব জন্মে।
অসুবিধা: পেটেন্ট সময়কাল শেষ হয়ে গেলে সাধারণের অধিকারে চলে আসে।
②সুবিধা: পেটেন্ট রূপায়নের প্রশাসনিক ব্যবস্থা সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
অসুবিধা: পেটেন্ট এর অধিকারস্বত্ব বিতর্কিত হলে তাকে আইনি প্রতিরক্ষা দেওয়া বেশ খরচ সাপেক্ষ হয়।
③সুবিধা: পেটেন্ট এর আওতাধীন জিনিস বা বিষয়ের অপচয়ের সম্ভাবনা কম থাকে।
অসুবিধা: পেটেন্ট এর আওতা বহির্ভূত জিনিস প্রায়শই অপচয়ের মধ্যে পড়ে।
④সুবিধা: পেটেন্টকৃত জিনিস বা বিষয়ের একচ্ছত্র আধিপত্য মালিককে অর্থনৈতিক সুবিধা এনে দেয়।
অসুবিধা: পেটেন্টকৃত জিনিসের মূল্য অনেক সময় সাধারণ মানুষের আয়ত্তের বাইরে যায় বলে সবাই এর সুবিধা পেতে পারে না।
☞বায়োপেটেন্ট কাকে বলে?
যখন পেটেন্টকে জৈবিক ব্যাপারে বা তা থেকে উৎপাদিত বস্তুর জন্য অনুমতি প্রদান করা হয় তাকে বায়োপেটেন্ট বলে।