classes
classes
 *West Bengal board only.

অক্সিন, জিব্বেরেলিন ও সাইটোকাইনিন এর পার্থক্য | Difference between Auxin, Gibberelin and Cytokinin

{tocify} $title={এক নজরে শিরোনাম}

নমস্কার, স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুক এ। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো, তিনটি উদ্ভিদ হরমোন বা ফাইটোহরমোন অক্সিন, জিব্বারেলিন এবং সাইটোকাইনিন এর পার্থক্য। পার্থক্য এর শেষে আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এবং উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। তাহলে চলুন শুরু করা।

www.bigyanbook.co.in


প্রথমে একসাথে তিনটি উদ্ভিদ হরমোন এর মধ্যে পার্থক্য দেখবো।

অক্সিন, জিব্বারেলিন ও সাইটোকাইনিন এর পার্থক্য (Difference between Auxin, Gibberelin and Cytokinin)

অক্সিন: অক্সিন হলো নাইট্রোজেন ঘটিত জৈব যৌগ।

জিব্বারেলিন: জিব্বারেলিন হলো নাইট্রোজেন বিহীন জৈব যৌগ।

সাইটোকাইনিন: সাইটোকাইনিন হলো নাইট্রোজেন ঘটিত জৈব যৌগ।


অক্সিন: অক্সিন এর উৎপত্তিস্থল হলো প্রধানত কান্ড এবং মূলের অগ্রস্থ ভাজক কলা।

জিব্বারেলিন: জিব্বারেলিন এর উৎপত্তিস্থল হলো প্রধানত পরিণত বীজ, অঙ্কুরিত চারা গাছ এবং বীজ পত্র।

সাইটোকাইনিন: সাইটোকাইনিন এর উৎপত্তিস্থল হলো প্রধানত সস্য কলা এবং ফুল ও ফল এর নির্যাস।


অক্সিন: অক্সিন এর কাজ হলো প্রধানত উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা।

জিব্বারেলিন: জিব্বারেলিন এর কাজ হলো প্রধানত উদ্ভিদের ফুল সৃষ্টি এবং বীজের সুপ্ত দশা ভঙ্গ করে অঙ্কুরোদগমে সাহায্য করা।

সাইটোকাইনিন: সাইটোকাইনিন এর কাজ হলো প্রধানত উদ্ভিদের কোশ বিভাজন করা।


অক্সিন: উদ্ভিদের ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ এ অক্সিন হরমোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

জিব্বারেলিন: উদ্ভিদের ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ এ জিব্বারেলিন হরমোনের কোনো ভূমিকা নেই।

সাইটোকাইনিন: উদ্ভিদের ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ এ জিব্বারেলিন হরমোনের কোনো ভূমিকা নেই।

আরও পড়ুন: হরমোনের বৈশিষ্ট্য

এর পর দেখবো আলাদাভাবে অক্সিন এবং সাইটোকাইনিন এর পার্থক্য।


অক্সিন ও সাইটোকাইনিন এর পার্থক্য (Difference between Auxin and Cytokinin)

অক্সিন: অক্সিন হলো নাইট্রোজেন ঘটিত জৈব যৌগ।

সাইটোকাইনিন: সাইটোকাইনিন হলো নাইট্রোজেন ঘটিত জৈব যৌগ।


অক্সিন: অক্সিন এর উৎপত্তিস্থল হলো প্রধানত কান্ড এবং মূলের অগ্রস্থ ভাজক কলা।

সাইটোকাইনিন: সাইটোকাইনিন এর উৎপত্তিস্থল হলো প্রধানত সস্য কলা এবং ফুল ও ফল এর নির্যাস।


অক্সিন: অক্সিন এর কাজ হলো প্রধানত উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা।

সাইটোকাইনিন: সাইটোকাইনিন এর কাজ হলো প্রধানত উদ্ভিদের কোশ বিভাজন করা।


অক্সিন: উদ্ভিদের ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ এ অক্সিন হরমোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সাইটোকাইনিন: উদ্ভিদের ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ এ জিব্বারেলিন হরমোনের কোনো ভূমিকা নেই।

আরও পড়ুন: উদ্ভিদের রেচন পদার্থ

এর পর দেখবো আলাদাভাবে অক্সিন এবং জিব্বারেলিন এর পার্থক্য।


অক্সিন ও জিব্বারেলিন এর পার্থক্য (Difference between Auxin and Gibberelin)

অক্সিন: অক্সিন হলো নাইট্রোজেন ঘটিত জৈব যৌগ।

জিব্বারেলিন: জিব্বারেলিন হলো নাইট্রোজেন বিহীন জৈব যৌগ।


অক্সিন: অক্সিন এর উৎপত্তিস্থল হলো প্রধানত কান্ড এবং মূলের অগ্রস্থ ভাজক কলা।

জিব্বারেলিন: জিব্বারেলিন এর উৎপত্তিস্থল হলো প্রধানত পরিণত বীজ, অঙ্কুরিত চারা গাছ এবং বীজ পত্র।


অক্সিন: অক্সিন এর কাজ হলো প্রধানত উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা।

জিব্বারেলিন: জিব্বারেলিন এর কাজ হলো প্রধানত উদ্ভিদের ফুল সৃষ্টি এবং বীজের সুপ্ত দশা ভঙ্গ করে অঙ্কুরোদগমে সাহায্য করা।


অক্সিন: উদ্ভিদের ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ এ অক্সিন হরমোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

জিব্বারেলিন: উদ্ভিদের ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ এ জিব্বারেলিন হরমোনের কোনো ভূমিকা নেই।

আরও পড়ুন: বহুভ্রূণতা

এরপর দেখবো আলাদাভাবে জিব্বারেলিন এবং সাইটোকাইনিন এর পার্থক্য।


জিব্বারেলিন ও সাইটোকাইনিন এর পার্থক্য (Difference between Gibberelin and Cytokinin)

জিব্বারেলিন: জিব্বারেলিন হলো নাইট্রোজেন বিহীন জৈব যৌগ।

সাইটোকাইনিন: সাইটোকাইনিন হলো নাইট্রোজেন ঘটিত জৈব যৌগ।


জিব্বারেলিন: জিব্বারেলিন এর উৎপত্তিস্থল হলো প্রধানত পরিণত বীজ, অঙ্কুরিত চারা গাছ এবং বীজ পত্র।

সাইটোকাইনিন: সাইটোকাইনিন এর উৎপত্তিস্থল হলো প্রধানত সস্য কলা এবং ফুল ও ফল এর নির্যাস।


জিব্বারেলিন: জিব্বারেলিন এর কাজ হলো প্রধানত উদ্ভিদের ফুল সৃষ্টি এবং বীজের সুপ্ত দশা ভঙ্গ করে অঙ্কুরোদগমে সাহায্য করা।

সাইটোকাইনিন: সাইটোকাইনিন এর কাজ হলো প্রধানত উদ্ভিদের কোশ বিভাজন করা।


জিব্বারেলিন: উদ্ভিদের ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ এ জিব্বারেলিন হরমোনের কোনো ভূমিকা নেই।

সাইটোকাইনিন: উদ্ভিদের ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ এ জিব্বারেলিন হরমোনের কোনো ভূমিকা নেই।


এবার দেখবো উদ্ভিদ হরমোন থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এবং উত্তর।


• প্রাকৃতিক হরমোন কাকে বলে? (What is natural hormone?)

উত্তর: যে সমস্ত হরমোন উদ্ভিদ দেহে প্রাকৃতিক উপায়ে সৃষ্টি হয়, তাদের প্রাকৃতিক হরমোন বলে। উদাহরণ: অক্সিন, জিব্বারেলিন, সাইটোকাইনিন ইত্যাদি।


• কৃত্রিম হরমোন কাকে বলে? (What is synthetic hormone?)

উত্তর: গবেষনাগারে প্রস্তুত যে সমস্ত রাসায়নিক পদার্থ প্রাকৃতিক হরমোন এর মতো উদ্ভিদের বৃদ্ধি এবং পরিস্ফুটনে সাহায্য করে তাদের কৃত্রিম হরমোন বলে। উদাহরণ: ইন্ডোল প্রোপায়নিক অ্যাসিড (IPA), 2, 4 - ন্যাপথালিন অ্যাসিটিক অ্যাসিড (NAA), ডাইক্লোরোফেনক্সি অ্যাসিটিক অ্যাসিড (2, 4-D), ইন্ডোল বিউটাইরিক অ্যাসিড (IBA), -2,4-5 ট্রাইক্লোরোফেনক্সি অ্যাসেটিক অ্যাসিড (2, 4-5 T), মিথাইল ক্লোরোফেনক্সি অ্যাসেটিক অ্যাসিড (MCPA), ইন্ডোল অ্যাসিটালডিহাইড (IALD) ইত্যাদি।


• অক্সিন কাকে বলে? (What is Auxin?)

উত্তর: উদ্ভিদের কান্ড ও মূলের অগ্ৰভাগ, মুকুল আবরণী, বর্ধনশীল পাতার কোশ ইত্যাদি থেকে উৎপন্ন নাইট্রোজেন ঘটিত, ইন্ডোল বর্গযুক্ত যেসব জৈব অ্যাসিড উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে তাদের অক্সিন বলে।


• অক্সিন হরমোনের উদাহরণ (Example of Auxin hormone)

একটি অক্সিন হরমোনের উদাহরণ হলো, ইন্ডোল অ্যাসিটিক অ্যাসিড (IAA)।


• জিব্বেরেলিন কাকে বলে? (What is Gibberelin?)

উত্তর: উদ্ভিদের পরিণত বীজ, অঙ্কুরিত চারা, মুকুল, বীজ পত্র ইত্যাদি থেকে উৎপন্ন প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট, টারপিনয়েড জাতীয় যে জৈব অম্ল সমস্ত বীজের সুপ্ত দশা ভঙ্গ করতে, উদ্ভিদের দৈর্ঘ্য এর বৃদ্ধি ঘটাতে এবং ফুল ফোটাতে সাহায্য করে তাদের জিব্বেরেলিন বলে।


• সাইটোকাইনিন কাকে বলে? (What is Cytokinin?)

উত্তর: উদ্ভিদের ফল ও সস্যতে উৎপন্ন পিউরিন জাতীয় নাইট্রোজেন যুক্ত যে ক্ষারীয় জৈব পদার্থ সমূহ কোশ বিভাজনকে উদ্দীপিত করে, তাদের কাইনিন বা সাইটোকাইনিন বলে।


• কাইনিন কাকে বলে? (What is Kinin?)

উত্তর: উদ্ভিদের ফল ও সস্যতে উৎপন্ন পিউরিন জাতীয় নাইট্রোজেন যুক্ত যে ক্ষারীয় জৈব পদার্থ সমূহ কোশ বিভাজনকে উদ্দীপিত করে, তাদের কাইনিন বা সাইটোকাইনিন বলে।

আরও পড়ুন: উদ্ভিদ ও প্রাণীর রেচন ক্রিয়ার পার্থক্য

অক্সিনের ব্যবহারিক প্রয়োগ

• বীজ বিহীন ফল উৎপাদন এর জন্য অক্সিনের প্রয়োগ করা হয়।

• শাখা কলমের সাহায্যে বংশবিস্তার এর জন্য বিভিন্ন ফুল ও ফল এর গাছে অক্সিন প্রয়োগ করে দ্রুত মুকুল সৃষ্টি করা হয়।

• চাষের খেতে আগাছা দমন করতে কৃত্রিম অক্সিন 2,4-D এর ব্যবহার করা হয়।

• পাতা, ফুল, ফল এর মোচন বা ঝরে পড়া রোধে করতে কৃত্রিম অক্সিন এর প্রয়োগ করা হয়।

• উদ্ভিদের অঙ্গ (ডালপালা) ছাঁটার পর, ওই অঞ্চলের ক্ষতস্থান পূরণ করতে কৃত্রিম অক্সিন এর প্রয়োগ করা হয়।


জিব্বেরেলিনের শারীরবৃত্তীয় কাজ

• জিব্বেরেলিন খর্বাকার উদ্ভিদের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

• জিব্বেরেলিন উদ্ভিদের ফুল ফোটাতে সাহায্য করে।

• জিব্বেরেলিন মুকুল ও বীজ এর সুপ্ত অবস্থা ভঙ্গ করতে সাহায্য করে।

• জিব্বেরেলিন পাতা, ফুল, ফলের আয়তন বৃদ্ধিতে এবং বীজ বিহীন ফল উৎপাদনে সাহায্য করে।

• এই হরমোন পুষ্পমুকুল এবং কাক্ষিক মুকুলের পরিস্ফুটন ঘটায়।

• জিব্বেরেলিন বীজ এর মধ্যে থাকা অ্যামাইলেজ নামের শ্বেতসার বিশ্লিষ্টকারী উৎসেচকের কার্যকারীতা বৃদ্ধি করে।

• উন্নত উদ্ভিদের লিঙ্গ নির্ধারণে বিশেষ ভূমিকা গ্ৰহণ করে।



😊 Bigyanbook এর সমস্ত নতুন পোস্টের আপডেট পেয়ে যান সরাসরি আপনার ইমেইলের ইনবক্স এ। নিচে আপনার ইমেইল দিয়ে ফ্রিতে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। 

😊 এই ওয়েবসাইট টিকে দ্রুত খুঁজে পাওয়ার জন্য এটিকে আপনার ব্রাউজারে বুকমার্ক হিসেবে অ্যাড করুন। 

😊 এছাড়াও আপনি লাইক করতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজ। নিচে সোশ্যাল প্লাগিন অপশনে ফেসবুক লেখাটিতে ক্লিক করে আপনি আমাদের ফেসবুক পেজে গিয়ে লাইক, ফলো করতে পারেন। এছাড়াও আপনি লাইক করতে পারেন এবং সাবস্ক্রাইব করতে পারেন আমাদের টুইটার হ্যান্ডেল এবং ইউটিউব চ্যানেল।

😊 পড়তে থাকুন বিজ্ঞান এর সমস্ত বিষয় সম্পূর্ণ বাংলায়, বিজ্ঞানবুক -এ।

😊 পড়তে থাকুন বিজ্ঞানবুক।

😊 ধন্যবাদ ।।

বিজ্ঞানবুক

লেখাটি কেমন কমেন্ট করে জানান। শেয়ার করুন এই পেজটি। পড়ুন অন্যান্য পোস্টগুলিও। youtube facebook

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন