নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞান বুকে। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো বহুভ্রূনতা সম্পর্কে। বহুভ্রুণতা হলো উদ্ভিদের বিভিন্ন পদ্ধতির জননের একটি বিশেষ পদ্ধতি। এই 'বহুভ্রণতা' জনন পদ্ধতির মাধ্যমে উদ্ভিদ অপত্য সৃষ্টি করে থাকে।
বহুভ্রুণতা কী ?
একটি উদ্ভিদ ব্রিজে যখন একই সাথে একাধিক ভ্রূণ উৎপন্ন হয় তখন তাকে বহুভ্রুণতা বলে। উদ্ভিদ বীজে সর্বপ্রথম এই বহুভ্রুণতা পদ্ধতি লক্ষ করেন বিজ্ঞানী লিভেনাহিক, 1719 খ্রিস্টাব্দে।
বহুভ্রুণতার প্রকারভেদ :
বহুভ্রুণতা দুই প্রকারের হয়, ১. প্রকৃত বহুভ্রুণতা এবং ২. মেকি বহুভ্রুণতা।
১. প্রকৃত বহুভ্রুণতা (True polyembryony)
যখন উদ্ভিদের বীজের ডিম্বকের শুধুমাত্র একটি ভ্রুণস্থলীতে একাধিক ভ্রূণ উৎপন্ন হয়, তখন তাকে প্রকৃত বহুভ্রূনতা বলে বা True polyembryony বলে।
এই প্রকৃত বহুভ্রুণতা সাইকাস, পাইনাস প্রভৃতি উদ্ভিদে দেখতে পাওয়া যায়।
২. মেকি বহুভ্রুণতা (False polyembryony)
যখন উদ্ভিদের বীজের ডিম্বকের, একাধিক ভ্রুণস্থলীতে, একাধিক ভ্রূণ উৎপন্ন হয়, তখন তাকে মেকি বহুভ্রুণতা বলে বা False polyembryony বলে।
এই মেকি বহুভ্রুণতা পিঁয়াজ, বাদাম, আম, কমলা প্রভৃতিতে দেখা যায়। পাতিলেবুর একটি বীজে 2 থেকে 40 টি পর্যন্ত ভ্রুণ দেখা যায়।
আরো পড়ুন: অযৌন জননের সুবিধা ও অসুবিধা
বহুভ্রুণতার বা polyembryony এর ক্ষেত্রে, উদ্ভিদ বীজের মধ্যে উৎপন্ন হওয়া একাধিক ভ্রুনের মধ্যে, একটি সাধারণ ভ্রূণ, যেটি জাইগোট থেকে উৎপন্ন হয় এবং বাকি ভ্রূণগুলি নিউসেলার প্রকৃতির হয় অর্থাৎ, ভ্রুনপোষক কলা থেকে উৎপন্ন হয়।
পিঁয়াজ এর ক্ষেত্রে যে বহুভ্রূনতা দেখা যায়, সেক্ষেত্রে পিঁয়াজে উৎপন্ন হওয়া 5 টি ভ্রুণের মধ্যে, একটি জাইগোট থেকে, একটি সহকারী কোষ থেকে, দুটি প্রতিপাদ কোষ থেকে এবং একটি ভ্রুণত্বক থেকে উৎপন্ন হয়।
বহুভ্রুণতার গুরুত্ব (Importance of polyembryony)
1. বহুভ্রণতা পদ্ধতিতে উৎপন্ন ভ্রুন থেকে ক্লোন উৎপন্ন করা সুবিধাজনক।
2. বহুভ্রুণতা পদ্ধতিতে উৎপন্ন ভ্রুন খুব সহজে সংক্রামিত হয় না।
3. সংকর প্রজাতির সৃষ্টির ক্ষেত্রে বহুভ্রুণতা পদ্ধতিতে উৎপন্ন ভ্রুন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
পড়ুন বিজ্ঞান এর সমস্ত বিষয় "বিজ্ঞান বুক" এ। সহজেই এই ওয়েবসাইট টিকে খুঁজে পাওয়ার জন্য এটিকে আপনার ব্রাউজারে বুকমার্ক হিসেবে যুক্ত করুন। এছাড়াও আপনি উপরে থাকা "SUBSCRIBE" লেখা টিতে ক্লিক করে ইমেল এর মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া নতুন আর্টিকেল এর নোটিফিকেশন পেতে পারেন সম্পুর্ন বিনামূল্যে।
পড়তে থাকুন বিজ্ঞান বুক।।
ধন্যবাদ।।