সাবানের শিল্পোৎপাদন
সাধারণত ব্যাচ (Batch) পদ্ধতিতে, ফুটন্ত পদ্ধতিতে (Full boiled process) কাপড় কাচা সাবান এবং গায়ে মাখার সাবান প্রস্তুত করা হয়। কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয় চর্বি, গ্রিজ, নারকেল তেল এবং কস্টিক সোডার দ্রবণ। এছাড়াও পাম তেল, অলিভ অয়েল, কার্পাস বীজের তেল ব্যবহার করা হয়। স্টিলের তৈরি এবং তলায় শঙ্কুর ন্যায় আকৃতির স্যাপোনিকেশন পাত্র ব্যবহার করা হয়। পাত্রের নীচের দিক থেকে পাম্পের সাহায্যে সাবানের নিষ্কাশন করা হয়।
বিক্রিয়ার জন্য পাত্রে, গলিত চর্বি মিশ্রণের মধ্যে প্রয়োজন অনুযায়ী কস্টিক সোডার দ্রবণ (১২%-১৪%) মেশানো হয়। এই মিশ্রণটিকে স্টিমের সাহায্যে উত্তপ্ত করা হয় ও সঙ্গে আলোড়িত করা হয়। চার ঘণ্টা ধরে এই স্যাপোনিকেশন বিক্রিয়া চলে, এরপর সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) দ্রবণ রোগ করা হয়। সোডিয়াম ক্লোরাইড যোগ করার ফলে, সাবান পৃথক হয়ে তরলের উপর ভেসে ওঠে।
সাবানের মধ্যে থেকে যাওয়া গ্লিসেরল এবং লবণ সরানোর জন্য জল ও কস্টিক সোডার দ্রবণ দিয়ে সাবান কে ফোটানো হয়। জলের বেশির ভাগ অংশই সাবানের মধ্যে থেকে যায়।
থিতোনোর পর সাবানের তিনটি স্তর দেখা যায়, একেবারে উপরের স্তরে থাকে উৎকৃষ্ট সাবান, তার পরের স্তর অর্থাৎ মাঝের স্তরে থাকে কালো রং এর নাইগার (Nigre) যা সাবান এবং অশুদ্ধির মিশ্রণ, এবং সবথেকে নীচের স্তরে থাকে সাবান এবং ক্ষারের দ্রবণ।
উৎকৃষ্ট সাবান পাত্র থেকে বের করার পর শুষ্ক করণ যন্ত্রে (Drier) পাঠানো হয়। মাঝের স্তরের নাইগারকে সস্তার সাবান তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় অথবা পরের ব্যাচে সাবান প্রস্তুতিতে ব্যবহার করা হয়।
😊 Bigyanbook এর সমস্ত নতুন পোস্টের আপডেট পেয়ে যান সরাসরি আপনার ইমেইলের ইনবক্স এ। নিচে আপনার ইমেইল দিয়ে ফ্রিতে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।
😊 এই ওয়েবসাইট টিকে দ্রুত খুঁজে পাওয়ার জন্য এটিকে আপনার ব্রাউজারে বুকমার্ক হিসেবে অ্যাড করুন।
😊 এছাড়াও আপনি লাইক করতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজ। নিচে সোশ্যাল প্লাগিন অপশনে ফেসবুক লেখাটিতে ক্লিক করে আপনি আমাদের ফেসবুক পেজে গিয়ে লাইক, ফলো করতে পারেন। এছাড়াও আপনি লাইক করতে পারেন এবং সাবস্ক্রাইব করতে পারেন আমাদের টুইটার হ্যান্ডেল এবং ইউটিউব চ্যানেল।
😊 পড়তে থাকুন বিজ্ঞান এর সমস্ত বিষয় সম্পূর্ণ বাংলায়, বিজ্ঞানবুক -এ।
😊 পড়তে থাকুন বিজ্ঞানবুক।
😊 ধন্যবাদ ।।